Get your free guide on how to grow a 6-figure solobusiness with the SoloFunnel Blueprint

By entering your email address you agree to receive emails from Jose Rosado. We’ll respect your privacy and you can unsubscribe at any time.

ডিসেম্বর কোর আপডেট থেকে ওয়েবসাইটকে রিকভার করার উপায়:

বর্তমান সময়ে গুগল প্রায় বড় বড় আপডেট নিয়ে এসেছে । গুগল কোর আপডেটস নামে পরিচিত এই আপডেট গুলি র মাধ্যমে গুগল তার সিস্টেম ও অনুসন্ধানে ব্যাপক পরিবর্তন এনেছে। কিছু গুরুত্পূর্ণ টিপস ফলো করে google core updates এর থেকে রিকভার করা যায় ।

১. গুগলের ই-এ-টি (E.A.T)  এবং ইমেইল (YMYL) গাইডলাইনস কে ফলো করুন:

এসইওতে, ই-এ-টি (E.A.T) এর অর্থ বিশেষজ্ঞ (এক্সপার্টিস),কর্তৃত্ব (অথরিটি) এবং বিশ্বস্ততা (ট্রাস্ট)। 

ই-এ-টি, গুগলের সার্চ অ্যালগরিদমের একটি ” সার্চ কোয়ালিটি গাইডলাইনস”।

  • E (ই) (এক্সপার্টিস) = এমন একজন  ব্যক্তি যার পেশাগত বিষয় উপর  ব্যাপক, জ্ঞান দক্ষতা: এবং অভিজ্ঞতা আছে |
  • A (এ ) অথরিটেটিভনেস = অথোরিটির অর্থ সাধারণত স্বীকৃত কর্তৃত্ব থাকা। লোকে আপনাকে চেনে, আপনার পটভূমি জানে এবং আপনাকে আপনার কনটেন্ট এবং ব্রাণ্ডের যোগ্য হিসাবে জানে। তারা আপনাকে তথ্যের যোগ্য কনটেনট ক্রিয়েটার  হিসাবে গ্রহণ করে।
  • T (ট্রাস্ট) = লোকেরা আপনাকে সঠিক, সত্য তথ্য সরবরাহ করতে বিশ্বাস করে।

গুগলের  YMYL (YOUR MONEY YOUR LIFE) এলগোরিদম মানে কি বোঝায় ?

নির্দেশিকাতে নির্দিষ্ট বিষয়ের জন্য কিছু নির্দিষ্ট গাইডলাইনস  রয়েছে যার জন্য উচ্চ E-A-T প্রয়োজন। বিশেষত, নিম্নলিখিত YMYL সামগ্রীযুক্ত পৃষ্ঠাগুলির পিছনে বিশেষ দক্ষতা থাকা দরকার |

1. ডাক্তারি পরামর্শ |

2. সাংবাদিক, সংবাদ নিবন্ধ |

3. বৈজ্ঞানিক বিষয়ের উপর তথ্য |

4. আর্থিক পরামর্শ, আইনী পরামর্শ এবং করের (ট্যাক্স) পরামর্শ |

২. কোয়ালিটি ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজে প্রসেসিং (NLP) কন্টেন্টের জন্যে নিম্ন লিখিত পয়েন্টস এ ফোকাস করুন, এবং টেকনিকাল এসইওতে আপনার ব্রান্ডের উপযুক্ত স্কিমা (SCHEMA) ব্যাবহার করুন :

1.ভাল গবেষণা ।

2. ভালভাবে এডিট করে সাজানো কনটেন্ট ।

3. পক্ষপাতশূন্য ।

4. রিলেটেড সঠিক তথ্য ।

5. ট্রাস্টেড সোর্স থেকে কোনো ডাটা বা ফ্যাক্ট ।

6. কপি করা এবং প্লাগিয়ারাইজড কনটেন্ট না করা ।

7. যে কনটেন্ট সহজে পড়া যায় (READABILITY AND NLP) ।

8. ব্রান্ডের উপযুক্ত স্কিমা ব্যাবহার করা ।

. ট্রাস্টেড সিগন্যাল টি মেইনটেইন করতে সাহায্য করে 

নিম্নলিখিত  কিছু পয়েন্টস আপনার কনটেন্ট এবং ব্র্যান্ডের ট্রাস্ট সিগন্যাল কে   

   বাড়াতে সাহায্য করবে:

1. পুরস্কার এবং স্বীকৃতি প্রদর্শন, 

2. সার্টিফিকেট, এবং 

3. অন্যান্য তথ্য যা মানুষকে ব্র্যান্ডের উপর আস্থা রাখতে সাহায্য করে।

. বিক্রয়মূলক ভাষা ব্যবহার করা এড়িয়ে চলুন।

আপনি যখনি আপনার শ্রোতা বা রিডার দের জন্যে কোনো তথ্য বা পরামর্শ (ইনফর্মাশনাল ) কনটেন্ট দেবেন তাতে কোনো লেনদেন বা বিক্রয় যুক্ত (ট্রান্সাকশনাল) কনটেন্ট কে মেশাবেন না |

এরকম  করে গেলে আপনার শ্রোতারা আপনার কন্টেন্ট  কে এড়িয়ে যাবে যার  ফলে আপনার কনটেন্ট বা ব্রাণ্ডের  ট্রাস্ট টা নষ্ট হয়ে যাবে |

এতে আপনার সাইট এ  ভিজিটারের (শ্রোতাদের ) সংখ্যা কমে  যাবে  ফল স্বরূপ  গুগলের   কাছে আপনার কনটেন্ট দক্ষতা কমতে থাকবে |

৫. অথরিটি ব্যাকলিংক নেয়ার চেষ্টা করুন

ব্যাকলিংক হলো, যখন  আপনি আপনার ওয়েবসাইট থেকে অন্যের  ওয়েবসাইট এ  আপনার কনটেন্ট পেজের  লিংক নিচ্ছেন  বা দিচ্ছেন  | 

অথরিটি ওয়েবসাইট (যার দক্ষতা বেশি ) থেকে ব্যাকলিংক নিলে বা দিলে গুগলের কাছে  একটা পসিটিভ রাঙ্কিং  সিগনাল (লিংক জুস) যায় |

যার ফলে আপনার শ্রোতা দের  জন্য আপনার কনটেন্ট টা প্রাসঙ্গিক এবং বিশ্বাসযোগ্য হয়ে  যায় | 

এর বিপরীতে যদি আপনি এরম কোনো সাইট যার কোনো অথরিটি নাই যেমন পর্ন সাইট, গ্যাম্বলিং সাইট, হেট স্পিচ এরম জাতীয় লিংক শেয়ার করেন তাহলে আপনার রাঙ্কিং নামবে ।

শেষে কখনো গুগলের কোনো এলগোরিদম আপডেট আপনার ওয়েবসাইটইকে পেনাল্টি দেবে এবং আপনার ওয়েবসাইট অথরিটি নষ্ট হতে থাকবে |

তাই ব্যাকলিংক নিয়ে কাজ করার সময় সব সময় ভেবে চিনতে কাজ করতে হয় আর ভুল করে বাজে ওয়েবসাইট থেকে লিংক পেলেও আপনাকে সেই লিংক টা যথা শীঘ্র সরাতে হবে ।

৬. গুগলের কোর  ওয়েব ভাইটাল গাইডলাইনস (CORE WEB VITALS) ফলো করুন:

কোর ওয়েব ভাইটাল (CORE WEB VITALS) একটি সেট অফ মেট্রিকস যেটি সরাসরি আপনার ওয়েবসাইট ইউজার এক্সপেরিয়েন্স,  ডিজাইন, ওয়েবসাইট, সিকিউরিটির সাথে সম্পর্ক  রাখে |

নিম্নলিখিত  পয়েন্টস গুলো কোর ওয়েব ভাইটাল এর  মধ্যে পরে:

১. লার্জেস্ট কন্টেন্টফুল পেইন্ট (Largest Contentful Paint): এইটা একটা মেট্রিক যা পরীক্ষা  করে যে আপনার ওয়েবসাইটের মেইন্ পেজের কনটেন্ট কত দ্রুত লোড হচ্ছে |

সাধারণত এইটা ২.৫ সেকেন্ডস মধ্যে হওয়া উচিত |

২. ফার্স্ট ইনপুট ডিলে (First Input Delay): এই মেট্রিক টি যাচাই করে যে আপনার পেজে প্রথমবার নতুন শ্রোতাদের  সাথে ইন্টারেক্ট বা এংগেজ করতে কত সময় লাগে |

এইটা মোটামুটি ১০০ মিলি সেকেন্ড এর  মধ্যে হওয়া উচিত |

৩. কমুলাটিভে লেআউট শিফট (Cumulative Layout Shift) : এই মেট্রিক টি নিরীক্ষণ করে যে আপনার ওয়েবসাইট এ যে ভিজ্যুয়াল (VISUAL) ইমেজ বা ফন্ট (FONT) আছে, সেইটা ইউজার এর সাথে কি ভাবে ইন্টারেক্ট করছে |

কোনো শ্রোতা আপনার কনটেন্ট পড়তে পড়তে হঠাৎ যদি তার বোধ হয় যে ইমেজ এবং ফন্ট সরে গেলো এবং তাকে ফের থেকে কষ্ট করে কনটেন্ট টি খুঁজে বের করতে হচ্ছে,

আর সে  আসলে কতটা পেয়েছে এবং তার পরবর্তী  কনটেন্ট টা কোথায়, এটি ইউজার এর  উপর  একটি নেগেটিভ ইমপ্যাক্ট দেয় | একটি আদর্শ পরিমাপ ০.১  এর চেয়ে কম।

৪. মোবাইল ফ্রেন্ডলি (MOBILE FRIENDLY) : আপনাকে সবসময় এইটা মাথায় রাখতে হবে যে আপনার বেশি ভাগ শ্রোতা মোবাইলেই আপনার কনটেন্ট পড়ে  তাই আপনার ওয়েবপেজ গুলো যেন  মোবাইল ফ্রেন্ডলি হয় |

৫. নিরাপদ ব্রাউজিং এবং HTTPS থাকা : গুগলের কাছে এটি একটা বড়ো  ররাঙ্কিং ফ্যাক্টর যে আপনার ওয়েবসাইট এ যেন HTTPS থাকে |

যাতে  ইউসার সিকিউরিটি  কিংবা পার্সোনাল ইনফরমেশন বজায় থাকে এবং যদি ওনারা কোনো লেনদেন বা ট্রানসাকশান করে সেইটা সম্পূন্ন সিকুরড  হয় |

৬. ইনট্রুসিভ ইন্টারস্টিটালস (Intrusive Interstitial): এর সরাসরি মানে হলো, যে শ্রোতা আপনার  কনটেন্ট পড়ছে তার চোখের সাম্্নে যেন বার বার কোনো রকমের এড্স, পপ-আপ না আসে ।

এবং  পরবর্তী পেজে নেভিগেট  করতে গিয়ে যেন অন্য পেজ না রিডাইরেক্ট হয়ে যায় | সে যেন কোনো ভাবে বিরক্ত না হয় এবং আপনার ওয়েবসাইট থেকে বেরিয়ে না যায় | এতে আপনার ওয়েবসাইটের বাউন্স রেট  বাড়বে |

গুগল কোর আপডেটস এর প্রভাবে আপনার সাইট এর কি পরিবর্তন হয়েছে তা বুঝতে কিছু সময় লাগতে পারে । তবে আপনি যদি আমাদের দেখানো টিপস গুলি ফলো করেন , তাহলে হয়তো বড় কোনো ক্ষতির হাত থেকে বেঁচে যাবেন ।

KEEP READING

Table of Contents